ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার অনীল কুম্বলে এবার সোশাল মিডিয়ার তাঁর মুখে কথা বসিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পোস্ট করা হচ্ছে বলে দাবি করলেন। অর্থাৎ তিনি বলছেন, চলতি বর্ডার গাভাসকর ট্রফিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েই তাঁর মন্তব্য হিসেবে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে, অথচ সেই কথাগুলো নাকি আদৌ কুম্বলে বলেননি।
ভারতীয় দলের পারফরমেন্স খুবই খারাপ হয়েছে চলতি বর্ডার গাভাসকর ট্রফির শেষ দুই টেস্টে। এরপরই বিভিন্নমহল থেকেই মন্তব্য আসছে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটার বোলারদের নিয়ে। কুম্বলেও নামেও নাকি একাধিক ফলস স্টেটমেন্ট বা ফেক কোট ব্যবহার করা হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়, দাবি করেছেন কুম্বলে। এই নিয়ে তিনি পোস্টও করেছে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে।
কুম্বলের ছবি দিয়ে ভুঁয়ো পোস্ট-
অস্ট্রেলিয়া দলের ৪৪৫ রানের পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দলের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। কারণ তাঁরা মাত্র ৫১ রানের মধ্যে চাঁর উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। এই অবস্থায় টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটারদের নিয়ে সমালোচনা হলেও বরাবরের শান্ত, নম্র স্বভাবের কুম্বলে এখনও পর্যন্ত ভারতের কোনও ক্রিকেটারকে নিয়েই কটাক্ষ করেননি। অথচ তাঁর নামেই বাজারে ফেক কোটের রমরমা চলছে দেখেই ফোঁস করে উঠলেন কুম্বলে।
কুম্বলের বার্তা ভুঁয়ো পোস্ট নিয়ে-
অনুীল কুম্বলে নিজের সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে লিখেছেন, ‘আমার নজরে পড়েছে যে কয়েকটা সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ড আমার ছবি ব্যবহার করে নিজেদের মনের মতো করে কথা জুড়ে দিচ্ছে আমার নামের পাশে। আমি স্পষ্টভাবেই জানাচ্ছি আমার সঙ্গে এইসব অ্যাকাউন্টের বা তাঁদের কন্টেন্ট বা বিষয়বস্তুর কোনও সম্পর্কই নেই।
একবার চেক করে নেওয়ার অনুরোধ-
তিনি জানিয়েছেন, যদি কোনও মন্তব্য তিনি করেন কোনও বিষয় নিয়ে তাহলে সেটা তিনি করবেন নিজের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকেই। তাই যে কোনও ধরণে বক্তব্য বা মন্তব্য যদি তাঁর ভক্তরা দেখতে পান, সেক্ষেত্রে তাঁরা যেন একবার যাচাই করে নেন যে এই মন্তব্য আদৌ অনীল কুম্বলের করা কিনা, অর্থাৎ তাঁর নিজের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে যাতে তাঁরা ঢু মারে।
সুনীল গাভাসকরও একই ঘটনার শিকার-
সম্প্রতি কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরও একই অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, একটি ওয়েবসাইট পার্থ টেস্টের সময় তাঁর নাম দিয়ে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেছিল, অথচ সেটা তাঁর বক্তব্য বা লেখা নয়। এরপরই সেই গ্রুপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন সানি। ঘটনাটি ঘটেছিল গতমাসের শেষে, অর্থাৎ বর্ডার গাভাসকর ট্রফির সুযোগ নিয়ে এরকম ভুঁয়ো মন্তব্য বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে অসাধু পেজগুলো, নিজেদের ভিউ বাড়ানোর জন্য।