সব হুংকার জলে। শর্তসাপেক্ষে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘হাইব্রিড মডেলে’ রাজি হয়ে গেল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম রেভস্পোর্টসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তিনটি শর্তে পিসিবি হাইব্রিড মডেলে রাজি হয়েছে। প্রথম শর্ত হল, আইসিসি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য যে টাকা দেওয়া হত, সেটা পাঁচ মিলিয়ন ডলার মতো বাড়িয়ে দেওয়া হোক। ২০২৪ সাল থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে আইসিসির মুনাফার যে ৫.৭ শতাংশের মতো দেওয়া হবে, সেটা বাড়িয়ে যেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়। অর্থাৎ মুনাফা প্রদানের অঙ্কটা ০.৫ শতাংশের মতো বাড়ানোর দাবি তোলা হয়েছে। সেইসঙ্গে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ভারতে যে যে আইসিসি ইভেন্ট হবে, সেগুলিও ‘হাইব্রিড মডেলে’ করার পক্ষে সওয়াল করেছে পিসিবি। আর সেই শর্তগুলি যদি আইসিসি মেনে নেয়, তাহলে ‘হাইব্রিড মডেলে’ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে আপত্তি নেই পাকিস্তান বোর্ডের। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে পিসিবির তরফে কিছু জানানো হয়নি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইসিসির কাছে সরকারিভাবে সেই প্রস্তাব পাঠাবে পিসিবি।
পাকিস্তানকে মানতেই হত, মত সংশ্লিষ্ট মহলের
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এতদিন যে হুংকার দেওয়া হচ্ছিল, সেখান থেকে সরে এসে পাকিস্তান বোর্ডকে বাস্তবের মাটিতে নামতেই হত। কারণ ভারতকে ছাড়া পিসিবির পক্ষে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করা সম্ভব নয়। আর পাকিস্তানে খেলতে যাবে না ভারতও। সেই পরিস্থিতিতে একগুঁয়েমি করে পিসিবি যদি আইসিসিতে ভোটাভুটির পক্ষে সওয়াল করত, তাহলে হিতে বিপরীত হত। বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) যা দাপট, তাতে ভোটাভুচি করলে একটা ভোটও সম্ভবত পেত না পিসিবি। আর সেইসব বিবেচনা করে পিসিবি যে ‘হাইব্রিড মডেলে’ রাজি হয়েছে, তাতে আখেরে পাকিস্তানেরই লাভ হল।
টাকা কোনও ফ্যাক্টরই নয় ICC-র কাছে
ওই মহলের বক্তব্য, যে পরিমাণ বাড়তি টাকা চেয়েছে পিসিবি, সেটা আইসিসির কাছে কোনও ব্যাপার নয়। আর ভারতে পুরুষদের যে আইসিসি টুর্নামেন্ট হবে, তাতে ‘হাইব্রিড মডেল’ রূপায়ণের ব্যাপারটা এখন অনেক পরের ব্যাপার। কারণ ২০২৬ সালে যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে, সেটা ভারত এবং শ্রীলঙ্কা মিলিয়ে হবে। ২০৩১ সালের একদিনের বিশ্বকাপ হবে ভারত এবং বাংলাদেশে। একমাত্র ২০২৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে শুধু ভারতে। সেটা অনেক দেরি আছে। ততদিনে পরিস্থিতি পরিবর্তনও হতে পারে। আর তাছাড়া পাকিস্তানে খেলতে না যাওয়া আর ভারতে খেলতে না আসার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ আছে।
সেক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ কোথায় হবে?
একাংশের মতে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ভারতের ম্যাচ হবে। দুবাইয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের ম্যাচ। ফাইনালও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হবে। পাকিস্তান লাহোরে ফাইনাল চাইলেও সেটা পাবে না বলে নিশ্চিত সংশ্লিষ্ট মহল।