একই অলিম্পিক্সে দু’টি পদক। জিততে পারেন আরও একটি। সেই মনু ভাকের ছোটবেলায় শুটিং নয়, অন্য পাঁচটি খেলাকে ভালবেসেছিলেন। বিভিন্ন খেলায় জাতীয় গেমসে পদকও জিতেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেছে নেন শুটিংকে। কারণ তাঁর চোখে চোট লেগেছিল। সেই চোট না লাগলে হয়তো অন্য কোনও খেলায় অলিম্পিক্সে ভারতের জার্সি পরতেন মনু।
১৪ বছর বয়সে শুটিং শুরু করেন মনু। তার আগে বক্সিং, টেনিস, স্কেটিং, ভলিবল, মার্শাল আর্টসের মতো খেলায় যুক্ত ছিলেন। জাতীয় গেমসে বক্সিং, টেনিস এবং স্কেটিংয়ে পদকও আছে মনুর। তা হলে শেষ পর্যন্ত শুটিংকে কেন বেছে নিলেন তিনি?
স্কুলে ভলিবল খেলতে গিয়ে চোখে চোট লাগে মনুর। ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন খেলায় পারদর্শী হলেও তিনি বাধ্য হয়েছিলেন এমন খেলা বেছে নিতে যেখানে শারীরিক সংঘর্ষ নেই। তাই বক্সিং, টেনিস, স্কেটিং, ভলিবল ছেড়ে মনু বেছে নেন শুটিং। চোখে চোট লাগলেও লক্ষ্য স্থির মনুর। দ্রুত উন্নতি করেন শুটিংয়ে। মনুর বয়স এখন ২২ বছর। অর্থাৎ, মাত্র আট বছর শুটিং করেই দেশকে অলিম্পিক্স পদক এনে দিলেন তিনি। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে বন্দুক ঠিক থাকলে হয়তো আরও তিন বছর আগেই অলিম্পিক্স পদক জিততে পারতেন মনু।
২০০২ সালে হরিয়ানার ঝাঁঝরে জন্ম মনুর। তাঁর বাবা রামকিশন ভাকের ছিলেন মার্চেন্ট নেভির ইঞ্জিনিয়র। মা সুমেধা একটি স্কুলের প্রিন্সিপল। সেই স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন মনু। ২০১৬ সালে প্রথম বার বন্দুক হাতে নেন তিনি। সেই বন্দুকটার দাম ছিল এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ২৫ কিলোমিটার দূরে একটি শুটিং রেঞ্জে অনুশীলন করতে যেতেন মনু। প্রতি দিন পাঁচ ঘণ্টা করে অনুশীলন করতেন।
মনু প্রচণ্ড পরিশ্রমী। কোচ বললে সারা দিন অনুশীলন করে যেতে পারেন। সেই সঙ্গে লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারেন। ঠান্ডা মাথায় নিজের কাঙ্ক্ষিত ফলের জন্য লড়াই করে যান। উন্নতি করার চেষ্টা করেন। যোগা করতে পছন্দ করেন মনু। সেটারই ফল পান শুটিং রেঞ্জে। আশা করা হচ্ছে আরও দু’টি অলিম্পিক্স খেলবেন। ফলে আরও পদকের আশা করতেই পারে ভারত।