টসে জিতে ইডেনের ২২ গজে ব্যাট করে নেওয়ার সিদ্ধান্তটাই কি দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য বুমেরাং হয়ে গেল? এবার ইডেনের বাকি ম্যাচে ভুরি ভুরি রান উঠছে। তাও কেন টসে জিতে ঋষভ পন্ত ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন, সেটাই সকলকে অবাক করেছে। বিশেষ করে চলতি আইপিএলে যেখানে সাধারণত টসে জিতলে, বেশির ভাগ দলই ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তবে এদিন ইডেনের উইকেট তুলনায় অনেক মন্থর ছিল। সেই কারণ হয়তো পন্ত ভেবেছেন, পরবর্তীতে আরও মন্থর হয়ে উঠতে পারেন উইকেট। তাই প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে দিল্লির ব্যাটিং ব্যর্থতাই এদিন ডোবাল দিল্লিকে। কেকেআর বোলারদের দাপটে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে দিল্লি। যে রান খুব সহজেই ৩ উইকেট হারিয়ে ২১ বল বাকি থাকতে করে ফেলে কেকেআর।
পঞ্জাব কিংসের কাছে হারের ধাক্কা কাটিয়ে, অবশেষে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জয়ে ফিরল কেকেআর। এদিন ২১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় কেকেআর। ১৬.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫৭ রান করে ফেলে নাইটরা। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বেঙ্কটেশ আইয়ার দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। ২৩ বলে ৩৩ করে অপরাজিত থাকেন শ্রেয়স। বেঙ্কটেশ আইয়ার ২৩ বলে অপরাজিত ২৬ করেন।
১৫ ওভারে কলকাতার দল ৩ উইকেট হারিয়ে করে ফেলেছে ১৪১ রান। জিততে হলে ৩০ বলে দরকার আর মাত্র ১৩ রান। বলাই যায় কেকেআর-এর জয় এখন সময়ের অপেক্ষা। শ্রেয়স আইয়ারের সংগ্রহ ২০ বলে ২৫ রান। বেঙ্কটেশ আইয়ার করেছেন ১৭ বলে ১৮ রান।
১৩ ওভারের খেলা শেষ। নাইট রাইডার্সের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩০ রান। জিততে হলে ৪২ বলে আর ২৪ রান দরকার। কেকেআর-এর হাতে রয়েছে সাত উইকেট। সুতরাং বলাই যায়, জয় যেন কেকেআর-এর কাছে এখন সময়ের অপেক্ষা। ক্রিজে রয়েছেন শ্রেয়স এবং বেঙ্কটেশ। শ্রেয়সের সংগ্রহ ১৫ বলে ১৮ রান। ১০ বলে ১৪ রান বেঙ্কটেশের।
এবার আইপিএলে একেবারেই চেনা ছন্দে নেই রিঙ্কু সিং। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচেও তিনি ফের নিরাশ করলেন। ১টি চারের সৌজন্যে ১১ বলে ১১ করে সাজঘরে ফিরলেন রিঙ্কু। উইলিয়ামসের বলে কুলদীপের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন রিঙ্কু। তৃতীয় উইকেট হারাল কেকেআর। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। দশম ওভারে মাত্র চার রান সংগ্রহ করেছেন কেকেআর। দশ ওভার শেষে নাইটরা করেছেন ৩ উইকেটে ১০৪ রান। শ্রেয়সের সংগ্রহ ৪ বলে ৩ রান। বেঙ্কটেশ করেছেন ৪ ৩ বলে ৩ রান।
মিচেল স্টার্ককে প্রথম ওভারেই তিনটি বাউন্ডারি হাঁকালেন মিচেল স্টার্ক। এই ওভারে মোট ১৫ রান দিলেন স্টার্ক। ১ ওভার শেষে দিল্লির সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৫ রান। শুরু থেকেই তারা আগ্রাসী মেজাজে খেলা শুরু করেছেন। পৃথ্বী ৫ বলে ১৩ করেছেন। ১ বলে ১ রান ম্যাকগার্কের।
১৩তম ওভারে বল করতে এসে এবার ত্রিস্তান স্টাবসকে ফেরালেন বরুণ চক্রবর্তী। ওভারের প্রথম বলেই সল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন স্টাবস। ৭ বলে ৪ করে আউট হলেন তিনি। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন কুমার কুশাগ্রা। ১৩ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১০১ দিল্লির। ১৮ বলে ১৫ রান অক্ষরের। ২ বলে ১ রান কুশাগ্রার।
বরুণ চক্রবর্তীর বলেই ঋষভের ক্যাচ ফেলেছিলেন হর্ষিত রানা। জীবনদান পেয়েছিলেন পন্ত। সেই বরুণের বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন দিল্লির অধিনায়ক। ১১তম ওভারে বল করতে আসেন বরুণ। এটা তাঁর নিজের দ্বিতীয় ওভার ছিল। ওভারের প্রথম বলেই বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন পন্ত। ব্যাটে-বলে ঠিক মতো হয়নি। শ্রেয়সের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। কেকেআর অধিনায়ক ক্যাচ ধরতে কোনও ভুল করেননি। ১টি ছক্কা, ২টি চারের হাত ধরে পন্ত ২০ বলে ২৭ করে সাজঘরে ফিরলেন। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন ত্রিস্তান স্টাবস। এই ওভার থেকে এল মাত্র ১ রান। ১১ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৯৪ রান দিল্লির। ১৩ বলে ১২ রান অক্ষরের। ২ বলে ১ রান স্টাবসের।