You are currently viewing বায়ুর দূষণ-এর ভাগ অনেক বেশী তাই দিল্লি এবং মুম্বাই-এর মাঠের খেলাতে আতশবাজির প্রদর্শন নিশিদ্ধ, ইডেনে কোন নিষেধ নেই – CAB স্বস্তিতে, কঠিন সিধান্ত BCCI এর

বায়ুর দূষণ-এর ভাগ অনেক বেশী তাই দিল্লি এবং মুম্বাই-এর মাঠের খেলাতে আতশবাজির প্রদর্শন নিশিদ্ধ, ইডেনে কোন নিষেধ নেই – CAB স্বস্তিতে, কঠিন সিধান্ত BCCI এর

Rate this post

বিশ্বকাপ ২০২৩ চলাকালীন বিসিসিআই থেকে নতুন আপডেট পাওয়া গেল এবং এই নতুন আপডেটের সঙ্গে সঙ্গে দিল্লী ও মুম্বাই ক্রিকেট পরিচালন সংস্থার মাথায় হাত। পরিবেশগত কারনের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) ঘোষণা করেছে যে মুম্বাই এবং দিল্লিতে বিশ্বকাপ 2023 ম্যাচ চলাকালীন কোনও আতশবাজি প্রদর্শন করা হবে না। তবে এ এই সিদ্ধান্ত এই শহরগুলিতে বায়ু দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির জন্যই নেওয়া হয়েছে। এর পেছনে অন্য কোন কারন নেই।

বিসিসিআই-এর সেক্রেটারি জয় শাহ এই ঘোষণা গতকাল করে দিয়েছেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সাথে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করার পর সংবাদ মাধ্যমে এই ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে এমনিতেই এই দুই শহরের বায়ু দূষণের মাত্রা অনেক বেশী , এবং এই কার্যকলাপ দূষণের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।

(responsive)

তিনি বলেছেন –

“বিসিসিআই পরিবেশগত উদ্বেগের প্রতি সংবেদনশীল। আমি বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসির কাছে নিয়েছি এবং মুম্বাই ও দিল্লিতে এমন কোনো আতশবাজি প্রদর্শন করা হবে না, যা দূষণের মাত্রা বাড়াতে পারে,” শাহ বলেছেন। তিনি আরও যোগ করেছেন, “বোর্ড পরিবেশগত সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সর্বদা আমাদের ভক্ত এবং স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখবে।”

এই সিদ্ধান্তটি ক্রীড়া অনুরাগীদের প্রত্যখ্য ভাবে হয়ত কিছুটা হতাশ করবে কিন্তু পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলিকেও স্বীকার করে, আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা এই শহরগুলিতে বায়ু দূষণের মাত্রা কমানোর লক্ষ্যে ভীষণ ভাল একটা প্রচেষ্টা বলে সবাই মনে করছে।

আসন্ন বিশ্বকাপের ম্যাচগুলির মধ্যে রয়েছে ভারত বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এবং আগামী সোমবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি। এই ম্যাচগুলি এখন প্রথাগত আতশবাজি প্রদর্শন ছাড়াই চলবে, যা খেলাধুলায় পরিবেশগত দায়িত্বের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ চিহ্নিত করবে।

শাহের বিবৃতি খেলার সাথে জড়িত প্রত্যেকের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরিতে বিসিসিআই-এর প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। এটি একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে যে ক্রিকেট একটি উদযাপন হলেও এটি পরিবেশ বা জনস্বাস্থ্যের মূল্যে আসা উচিত নয়। বিসিসিআই-এর এই পদক্ষেপটি অন্যান্য ক্রীড়া ইভেন্টগুলির জন্য একটি নজির স্থাপন করে, যা খেলাধুলায় টেকসই অনুশীলনের গুরুত্ব তুলে ধরে।

Whatsapp Group Join
Telegram channel Join

Leave a Reply