গত শ্রীলঙ্কা সফরে ক্যাপ্টেন হিসেবে সূর্যকুমার যাদবের একটি সিদ্ধান্ত চমকে দেয় সকলকে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টি-২০ ম্যাচের একেবারে শেষ ওভারে বল করতে আসেন সূর্যকুমার নিজে। জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল মোটে ৬ রান। সূর্য শেষ ওভারে ৫ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন এবং ম্যাচ টাই হয়। শেষমেশ সুপার ওভারে ম্যাচ জেতে টিম ইন্ডিয়া। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সেটিই ছিল সূর্যকুমারের প্রথম ওভার।
পাল্লেকেলের সেই ম্যাচের পরে বেশ কিছুদিন বিশ্রামে ছিলেন সূর্য। অবশেষে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে মাঠে ফেলেন চলতি বুচি বাবু আমন্ত্রণী টুর্নামেন্টে। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শ্রেয়স আইয়ার মুম্বইয়ের হয়ে এক ওভার হাত ঘোরান। তবে সূর্যকুমার বল করেননি। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে আসেন সূর্য।
বৃহস্পতিবার টিএনসিএ একাদশের বিরুদ্ধে এক ওভার বল করে ১০ রান খরচ করেন সূর্যকুমার। কোনও উইকেট পাননি তিনি। ইনিংসের ৩১তম ওভারে বাঁ-হাতি ব্যাটার অতীশকে একটি বিমার দিয়ে বসেন সূর্য। লুজ বলে সজোরে ব্যাট চালিয়ে বাউন্ডারি মারেন তিনি। শর্ট লেগ ফিল্ডার তৎপরতার সঙ্গে মাথা নীচু করে আঘাত এড়িয়ে যান।
স্লো ডেলিভারি হলেও কোমরের উপরে ফুলটস বল সব সময়ই ব্যাটারের জন্য বিপজ্জনক। সুতরাং, বোলার হিসেবে নিজের ভুল স্বীকার করে নেন সূর্যকুমার। তিনি হাত তুলে ক্ষমা চেয়ে নেন ব্যাটারের কাছে।
ম্যাচে মুম্বইকে রীতিমতো বেকায়দায় দেখাচ্ছে। মুলত প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের জন্য তৃতীয় দিনের শেষে কোণঠাসা সূর্যকুমাররা। তাদের সামনে জয়ের জন্য ৫১০ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে টিএনসিএ একাদশ। তৃতীয় দিনের শেষে মুম্বই তাদের শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬ রান তুলেছে। সুতরাং, শেষ দিনে জিততে আরও ৫০৪ রান দরকার মুম্বইয়ের।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বুচি বাবুর ম্যাচের প্রথম ইনিংসে তামিলনাড়ু ৩৭৯ রান তোলে। প্রদোষ রঞ্জন পাল ৬৫, বাবা ইন্দ্রজিৎ ৬১ অজিত রাম ৫৩ ও ভূপতি কুমার ৮২ রান করেন। ৫ উইকেট নেন মুম্বইয়ের হিমাংশু সিং।
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৫৬ রানে। দিব্যাংশ সাক্সেনা ৭০ ও সূর্যকুমার যাদব ৩০ রান করেন। ৫ উইকেট নেন তামিলনাড়ুর সাই কিশোর। সুতরাং, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২২৩ রানে পিছিয়ে পড়ে তারকাখচিত মুম্বই দল।
তামিলনাড়ু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৮৬ রানে অল-আউট হয়। অতীশ ৫৭, হরিহরণ ৫২ ও লোকেশ্বর ৭৩ রান করেন। ৫ উইকেট নেন মুম্বইয়ের তনুষ কোটিয়ান। ৪ উইকেট নেন শামস মুলানি।